
মেভটাইমস অনলাইন ডেস্কঃ-
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সার্কাসের হাতি দিয়ে ভুরুঙ্গামারী - কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসরকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে।
চলন্ত ট্রাক, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা সহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা তোলায় অতিষ্ঠ রোডের চালক ও যাত্রীরা।
চাঁদার কবল থেকে রেহাই পাইনি রাস্তার পাশের দোকান মালিকরাও।
হাতির সামনে পড়লে হাতির মাউথ (পরিচালনাকারী ) কে টাকা না দিয়ে চলাচল করতে পারেনা কোন যানবাহন ও ব্যক্তি ।
অভিযোগ উঠেছে প্রকার ভেদে ৫০/= ও ১০০/= টাকা চাঁদা দাবি করে হাতি দিয়ে। হাতিকে টাকা কম দিলেও না নেওয়ার অভিযোগ এই হাতির মাউথের (পরিচালকের) বিরুদ্ধে। আর এতে ভোগান্তিতে আছে এই রোডে চলাচলকারী চালক ও যাত্রীরা।
২১শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে রায়গঞ্জ ব্রিজের উত্তর পাশে চর বাড়াইটারী সিনিয়র মাদ্রাসার উত্তর পাশে রাস্তা অবরোধ করে চাঁদাবাজি করতে থাকে। এই চাাঁদাবাজির হাতে পরে " দৈনিক ক্রাইম তালাশের ক্রাইম রিপোর্টার ও ভুরুঙ্গামারী রিপোর্টাস্ ইউনিটির প্রচার সম্পাদক জনাব এসএম নুরুল আমিন। রাস্তায় চলন্ত বাইক থামিয়ে দিয়ে হাতির মাদ্ধ্যমে চাাদা দাবি করে এবং চাঁদা না দেওয়া পযর্ন্ত রাস্তা আটকিয়ে রাখে।
অপর দিকে একই দিন বিকাল ৪ টার সময় (আনুমানিক )ভূরুঙ্গামারী থানার সোনাহাট রোডের কুড়ারপার নামক স্থানে সার্কাস পেন্ডেলের কাছাকাছি এক যুবককে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায় ।
উপজেলার এই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে ইচ্ছে মতো চাঁদা আদায় করে ওই যুবক। চাঁদা আদায় ছাড়া কোনোভাবেই তার বাধা অতিক্রম করতে পারছিলনা চালকরা। কেউ কেউ হাতিকে এড়িয়ে যেতে দ্রুতগতিতে বিপদজনকভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। চাঁদা না দিলে হাতি দিয়ে ভয় দেখানোর অনেক অভিযোগও পাওয়া যায় ।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহমুদ হাসান বলেন, উপজেলা কুড়ারপাড় বাজারে হাতি দিয়ে আমার মোটরবাইকের সামনে পথ রুদ্ধ করে চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাতি দিয়ে আমাকে তারা করে এতে পরে গিয়ে আহত হই।
চর-ভূরুঙ্গামারী গ্রামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, হাতিকে টাকা না দিয়ে দ্রুত সামনে চলে যেতে চেয়েছিলাম। হাতির ভয়ে যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে আমার অটোটা প্রায় পড়েই গিয়েছিল। আমরা গরীব মানুষ, ১০ টাকা কামাতে গিয়ে যদি ২০ টাকা চাঁদা দিতে হয় আমরা যাবো কোথায়?
এ বিষয়ে 'দি রাজমনি সার্কাস' এর পরিচালক শাহিনুর রহমান বলেন, আমার অনুমতি ছাড়া হাতির মাউথ (পরিচালক) রাস্তায় কিছু টাকা তুলেছে। পরে বিষয়টি শুনে নিষেধ করা হয়েছে । আর এমন হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি হাতির মালিককে প্রাথমিকভাবে আমি সতর্ক করেছি পরবর্তীতে এরকম ঘটনা ঘটলে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।