
মেভটাইমস অনলাইন ডেস্কঃ- ভোলার চরফ্যাসনের জিন্নাগড় ইউনিয়নে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আবু জাহেরের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লার পরিবারের তিন নারীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে হামলা, বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট চালিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। হামলাকারীদের তন্ডবে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর পরিবারের তিন নারীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা গুরুত আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহত মেম্বার প্রার্থীর পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লা অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহনের শেষে তিনি কেন্দ্র থেকে তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। এসময় বিজয়ী মেম্বার আবু জাহেরের ভাই বাসির আহম্মেদের নেতৃত্বে বিজয় উল্লাস করে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। কিছুক্ষন পরই তার বাড়ির ভিতরে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর শুরু করেন। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিহত করতে গেলে নবনির্বাচিত মেম্বার আবু জাহেরের কর্মীরা ঘরে ঢুকে আসবাব পত্র ও বসত ঘরের দড়জা জানালাসহ তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন।
এসময় হামলাকারীদের মারধরের তিনিসহ তার পরিবারের নারী-পুরুষ ও কর্মীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।স্থানীয়রা তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার বিষয় অস্বীকার করে নবনির্বাচিত মেম্বার আবু জাহের জানান, রাতে সুমন মোল্লার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে তার ভাইয়ের দুই ছেলে সজিব ও সুমন যাওয়ার পথে তাদেরকে আটকে রেখেছেন এমন খবরে পারজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লার বাড়িতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায় । এতে তার ভাই বশির আহম্মেদসহ আরো তিন কর্মী আহত হয়েছে।
চরফ্যাসন থানার ওসি মোঃ মোরাদ হোসেন জানান, জিন্নাগড় ৫নং ওয়ার্ডে পারজিত মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে হামলার খবরে তৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে নির্বাচনী এলাকার নবনির্বাচিতদের কোন রকম সহিংসতা করা যাবেনা বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবাস্থা নেয়া হবে