
মেভটাইমস অনলাইন ডেস্কঃ- ঘুরে দাঁড়াতে এক বছর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা করতে চায় ইভ্যালি। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেছেন, ‘আমাদের দেনা পরিশোধের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিনিয়োগ। তাই আমরা আগামী একবছর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসা করতে চাই, আমরা আশাবাদী এসময়টা ব্যবসা করতে পারলে অবশ্যই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ পেয়ে যাব। আর বিনিয়োগ পেয়ে গেলেই দ্রুত গ্রাহকের টাকা পরিশোধ সম্ভব হবে।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ইভ্যালি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শামীমা নাসরিন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘১৫ অক্টোবর থেকে আমরা নতুন সার্ভারে ক্যাম্পেইন শুরু করবো। যদি আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারি তবে ধীরে ধীরে রিকভারি সম্ভব। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে চাই। তবে এখনি স্পেসেফিক টা্ইম জানাতে পারছি না। আপনাদের টাইম টু টাইম আপডেট জানিয়ে দেয়া হবে।’
দেনা পাওনার পূর্ণাঙ্গ হিসেব প্রসঙ্গে শামীমা নাসরিন বলেন, ‘গ্রাহক আমাদের কাছ থেকে ৪০০ কোটির টাকার মতো পাবেন। পুরোনো সার্ভার চালু না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহক কি পরিমাণ অর্থ পাবেন তা জানানো সম্ভব না। পুরোনো সার্ভার চালু করতে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলকে প্রয়োজন। তিনি ছাড়া কেউ পাসওয়ার্ড জানেন না। তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেই চালু হবে পুরোনো সার্ভার।’
সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের করা মানি ল্যান্ডিংয়ের অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে শামীমা নারসিন বলেন, ‘ইভ্যালি মানিলন্ডারিং করার মতো কোনো অপরাধ করেনি। টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে আমরা দুবাইও যাইনি। ৪ হাজার ৮ কোটির টাকার যে হিসাব পাওয়া যায়নি বলা হচ্ছে, তা সত্য নয়। আমি এবং আমার পরিবার অডিটে সহযোগিতা করেছি।’
মোহাম্মদ রাসেল দ্রুতই জামিনে মুক্তি পাবেন বলে আশা করেন তিনি। রাসেল মুক্তি পেলেই গেট-ওয়েতে আটকে থাকা টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে। আগের মতো অফার দেওয়া হবে না, তবে বিশেষ ছাড় থাকবে। যা দেওয়ার মতো।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।