Logo
শিরোনাম

এলাচ শুধু রান্নায় নয়, নিয়মিত সেবনেও উপকারিতা রয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৭০জন দেখেছেন
Md. Emran Hossain

Image

এলাচ একটি হালকা তীক্ষ্ণ কিন্তু মিষ্টি স্বাদের মশলা। গরম মসলা এলাচ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। আগের সময়ে, বেশিরভাগ লোক দুপুরের খাবারের পরে মুখের ফ্রেশনার হিসাবে এলাচ ব্যবহার করতেন।কিন্তু আজকের প্রজন্মের মানুষ এলাচ তুচ্ছভাবে খায়। যদিও এলাচের জল, এলাচের তেল ইত্যাদি বহু শতাব্দী ধরে বহু রোগ তাড়াতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তবে এলাচের বীজ যদি নিয়মিত সেবন করা হয় তবে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখা যায়।

এলাচের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারণে এর সেবন প্রস্রাবকে বিশুদ্ধ করে এবং প্রস্রাব সংক্রান্ত রোগ হতে দেয় না। ভিটামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন-সি, খনিজ পদার্থ, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান এলাচের মধ্যে পাওয়া যায়।

এর পাশাপাশি এলাচের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মূত্রবর্ধক গুণও পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এলাচ খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

রক্তচাপ কমাতে উপকারী- এলাচ সেবন রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। হেলথলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ১২ সপ্তাহ ধরে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৩ গ্রাম এলাচের গুঁড়া খান, তাদের রক্তচাপ অনেক কমে যায়। এর সাথে এটিও দেখা গেছে যে যারা এলাচ খান তাদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ৯০ শতাংশ বেড়ে যায়। গবেষণা অনুযায়ী, এলাচ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের সমস্যা ঠিক করে।

হজমশক্তি ঠিক থাকবে- এলাচ ব্যবহারে হজমের সমস্যা দূর হয়। এর পাশাপাশি এটি আলসারও নিরাময় করে। এলাচের পানি নিয়মিত খেলে হজম সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের এলাচের পানি খাওয়া উচিত।

প্রদাহ কমায়- এলাচের প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। অর্থাৎ এটি কোনও ধরনের সংক্রমণ হতে দেয় না। যখনই শরীরে বাহ্যিক আক্রমণ হয় তখনই শরীরের কোষগুলো ফুলে যেতে থাকে। এলাচের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং তাদের স্ফীত হতে দেয় না।

প্রতিবেদনের লেখা তথ্য নিজস্ব মত নয়৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷


আরও খবর

বসন্তে শিশুর অসুখ-বিসুখের প্রতিকার

রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শীতে মৌসুমে ঠোঁট ফাটার কারণ

সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২