
মেভটাইমস অনলাইন ডেস্কঃ- দেশে অক্টোবরেও কমেছে রেমিট্যান্স। প্রবাসীরা এ মাসে ১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন; যা আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। একক মাস হিসেবে এর চেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছিল সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের অক্টোবরে এক দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রা কমেছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বাবদ এসেছে ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে অক্টোবরে রেমিট্যান্স কমেছে ১ শতাংশের মত। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে ছিল। তবে অগাস্ট থেকেই প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
এ বছর অক্টোবর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দৈনিক গড়ে ৪ কোটি ৯২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অথচ সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এসেছিল। অগাস্টে এর পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৫৭ লাখ এবং জুলাইয়ে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হয়েছিল এই অর্থবছরের প্রথম মাস। অগাস্টে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে ছন্দপতন ঘটে সেপ্টেম্বরে। এ মাসে গত বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছিল; অক্টোবরে তা আরও কমল।
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে আমদানি চাপ বেড়েছে। এর বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স সে হারে না বাড়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নগদ প্রণোদনার হার আড়াই শতাংশ করাসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছে সরকার। গত ২ জুলাই মাসে এক দিনে যে কোনো অংকের অর্থ পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল; তুলে দেওয়া হয়েছে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বাধ্যবাধকতা।